আউটসোর্সিং কি এবং আউটসোর্সিং এর কাজ ও বিভিন্ন বিষয়

0

আচ্ছা, ধরুন আপনার অফিসের অনেক কাজ, কিন্তু লোকবল কম। অথবা এমন কিছু কাজ আছে, যা আপনার কোম্পানির লোকজনের তেমন ভালো জানা নেই। তখন কী করবেন? চিন্তা নেই, আউটসোর্সিং (Outsourcing) নামের একটা দারুণ জিনিস আছে, যা আপনার অনেক সমস্যা সমাধান করে দিতে পারে! চলুন, আজকে আমরা আউটসোর্সিংয়ের (Outsourcing) A to Z জেনে নেই।



আউটসোর্সিং কি এবং আউটসোর্সিং এর কাজ গুলো কি কি ও বিভিন্ন বিষয়

১. আউটসোর্সিংয়ের খুঁটিনাটি (Outsourcing er Khutinati)

১.১ আউটসোর্সিং কি? (Outsourcing ki?)

আউটসোর্সিং (Outsourcing) মানে হলো নিজের কোম্পানির কাজ অন্য কোনো ব্যক্তি বা কোম্পানির মাধ্যমে করিয়ে নেওয়া। সহজ ভাষায়, যখন একটা কোম্পানি তাদের কিছু কাজ নিজেদের কর্মীদের দিয়ে না করিয়ে অন্য কোনো কোম্পানি বা ফ্রিল্যান্সারকে (Freelancer) দিয়ে করায়, তখন সেটাকে আউটসোর্সিং (Outsourcing) বলে। ধরুন, আপনার একটা ওয়েবসাইট (Website) দরকার। এখন ওয়েবসাইট (Website) বানানোর জন্য আপনার প্রোগ্রামার (Programmer) নাও থাকতে পারে। তাই আপনি অন্য একটা IT কোম্পানিকে দিয়ে আপনার ওয়েবসাইট (Website) বানিয়ে নিলেন। এটাই হলো আউটসোর্সিং (Outsourcing)।


কোম্পানিগুলো কেন এমন করে? এর অনেক কারণ আছে। প্রথমত, খরচ কমানো। অনেক সময় অন্য কাউকে দিয়ে কাজ করালে কম খরচ হয়। দ্বিতীয়ত, দক্ষতা। হয়তো যে কাজটা করাতে চাচ্ছেন, সে বিষয়ে আপনার কোম্পানির কারো অভিজ্ঞতা নেই। তখন অভিজ্ঞ কাউকে দিয়ে কাজ করানো ভালো। ছোট ব্যবসার জন্য এটা খুবই দরকারি। কারণ, তারা শুরুতেই সব ধরনের কর্মী রাখতে পারে না।


আউটসোর্সিং (Outsourcing) কিভাবে কাজ করে, সেটা একটু বুঝিয়ে বলি। প্রথমে, কোম্পানি ঠিক করে যে তারা কী কাজ আউটসোর্স (Outsource) করতে চায়। তারপর তারা এমন কাউকে খুঁজে বের করে, যে সেই কাজটা ভালো করে করতে পারবে। এরপর, কাজের শর্ত, সময়সীমা, আর কত টাকা দিতে হবে – এসব নিয়ে একটা চুক্তি হয়। চুক্তি হয়ে গেলে, অন্য কোম্পানি বা ফ্রিল্যান্সার (Freelancer) কাজটা করে দেয়।


১.২ আউটসোর্সিংয়ের ইতিহাস (Outsourcing er Itihas)

আউটসোর্সিংয়ের (Outsourcing) শুরুটা কিন্তু খুব বেশি দিন আগের নয়। এটা শুরু হয়েছিল মূলত বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে। তখন বড় বড় কোম্পানিগুলো তাদের কিছু কাজ, যেমন – কল সেন্টার (Call center) বা ডেটা এন্ট্রি (Data entry) – অন্য দেশে করিয়ে নিত, যেখানে খরচ কম ছিল।


আগে আউটসোর্সিং (Outsourcing) বলতে শুধু কিছু নির্দিষ্ট কাজই বোঝাতো। যেমন – কাস্টমার সার্ভিস (Customer service) বা ব্যাক অফিস (Back office) এর কাজ। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। এখন ওয়েবসাইট (Website) বানানো থেকে শুরু করে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট (Software development), এমনকি রিসার্চ (Research) এর কাজও আউটসোর্স (Outsource) করা হয়।


বিশ্ব অর্থনীতিতে আউটসোর্সিংয়ের (Outsourcing) একটা বড় প্রভাব আছে। এটা একদিকে যেমন কোম্পানিগুলোকে কম খরচে ভালো কাজ করতে সাহায্য করে, তেমনি অন্য দেশে নতুন কাজের সুযোগ তৈরি করে।


উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আগে হয়তো শুধু কল সেন্টার (Call center) আউটসোর্স (Outsource) করা হতো। কিন্তু এখন একটা ফ্যাশন (Fashion) কোম্পানি তাদের পোশাকের ডিজাইনও অন্য কোনো ডিজাইনারকে দিয়ে করাচ্ছে। তার মানে, এখন অনেক কিছুই আউটসোর্স (Outsource) করা যায়।


২. কি কি কাজ আউটসোর্স করা যায়? (Ki ki kaj outsource kora jay?)

২.১ জনপ্রিয় আউটসোর্সিং কাজগুলো (Popular Outsourcing Kaj Gulo)

আউটসোর্সিংয়ের (Outsourcing) দুনিয়ায় অনেক ধরনের কাজ আছে, যা আপনি অন্যকে দিয়ে করাতে পারেন। এর মধ্যে কিছু কাজ খুবই জনপ্রিয়। চলুন, সেগুলোর কয়েকটা দেখে নেই:

  • আইটি (IT) ও সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট (Software development): ওয়েবসাইট (Website) বানানো, মোবাইল অ্যাপ (Mobile app) তৈরি করা, সফটওয়্যার (Software) তৈরি করা – এই কাজগুলো খুব বেশি আউটসোর্স (Outsource) করা হয়। কারণ, এই কাজগুলোর জন্য দক্ষ প্রোগ্রামার (Programmer) দরকার, যা সব কোম্পানির কাছে নাও থাকতে পারে।

  • কাস্টমার সার্ভিস (Customer service): কল সেন্টার (Call center) বা চ্যাট সাপোর্টের (Chat support) মাধ্যমে কাস্টমারদের (Customer) সাহায্য করাও একটা জনপ্রিয় আউটসোর্সিং (Outsourcing) কাজ। অনেক কোম্পানি তাদের কাস্টমার সার্ভিসের (Customer service) জন্য অন্য কোম্পানিকে ভাড়া করে।

  • ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital marketing): এসইও (SEO), সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট (Social media management), কনটেন্ট (Content) তৈরি – এই কাজগুলোও এখন খুব জনপ্রিয়। কারণ, এই কাজগুলো করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের (Digital marketing) উপর ভালো জ্ঞান থাকা দরকার।

  • হিসাবপত্র ও ফিনান্স (Hisab Potro o Finance): বিল দেখা, ট্যাক্স (Tax) এর হিসাব করা, ফিনান্সিয়াল (Financial) রিপোর্ট (Report) তৈরি করা – এই ধরনের কাজগুলোও অনেক কোম্পানি আউটসোর্স (Outsource) করে থাকে।

ধরুন, একটা পোশাক কোম্পানি তাদের ওয়েবসাইট (Website) বানানোর কাজ অন্য একটা আইটি (IT) ফার্মকে দিয়ে করাচ্ছে। আবার, তারা তাদের সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের (Social media marketing) জন্য অন্য একটা ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital marketing) এজেন্সির সাহায্য নিচ্ছে।


২.২ নতুন এবং উদীয়মান ক্ষেত্র (Notun ebong udioman khetro)

আউটসোর্সিংয়ের (Outsourcing) জগতে কিছু নতুন ক্ষেত্রও তৈরি হয়েছে, যেগুলো খুব দ্রুত বাড়ছে। এই ক্ষেত্রগুলো হলো:

  • আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (Artificial intelligence) ও মেশিন লার্নিং (Machine learning) এর কাজ: এখন অনেক কোম্পানি তাদের ডেটা (Data) বিশ্লেষণ করার জন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (Artificial intelligence) ও মেশিন লার্নিংয়ের (Machine learning) সাহায্য নিচ্ছে। এই কাজগুলো করার জন্য স্পেশালিস্ট (Specialist) দরকার হয়, তাই অনেকে এটা আউটসোর্স (Outsource) করে।

  • ডেটা অ্যানালিটিক্স (Data analytics): তথ্য বিশ্লেষণ করে ব্যবসার জন্য দরকারি জিনিস বের করা এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ। কোন প্রোডাক্ট (Product) বেশি বিক্রি হচ্ছে, কাস্টমাররা (Customer) কী চাইছে – এই সব তথ্য বের করার জন্য ডেটা অ্যানালিটিক্স (Data analytics) ব্যবহার করা হয়।

  • রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট (Research & development): নতুন কিছু নিয়ে গবেষণা করা বা নতুন প্রোডাক্ট (Product) তৈরি করার জন্য অনেক কোম্পানি অন্য কোনো রিসার্চ (Research) প্রতিষ্ঠানের সাহায্য নেয়।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একটা হেলথকেয়ার (Healthcare) কোম্পানি হয়তো তাদের রোগীদের ডেটা (Data) বিশ্লেষণ করার জন্য অন্য একটা ডেটা অ্যানালিটিক্স (Data analytics) কোম্পানির সাহায্য নিচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা জানতে পারছে, কোন রোগের জন্য কী ধরনের চিকিৎসা দরকার।


৩. আউটসোর্সিংয়ের লাভ-ক্ষতি (Outsourcing er Labh-Khoti)

৩.১ লাভের দিকগুলো (Labher Dikgulo)

আউটসোর্সিংয়ের (Outsourcing) অনেকগুলো ভালো দিক আছে। চলুন, সেগুলো একটু দেখে নেই:

  • খরচ সাশ্রয়: এটা আউটসোর্সিংয়ের (Outsourcing) সবচেয়ে বড় সুবিধা। অন্য কাউকে দিয়ে কাজ করালে আপনার কর্মীদের বেতন, অফিসের খরচ – এসব বাঁচে। কম খরচে ভালো কাজ করানো যায়।
  • দক্ষতা বৃদ্ধি: আপনি হয়তো এমন একটা কাজ করাতে চাচ্ছেন, যেটা আপনার কোম্পানির কেউ ভালো পারে না। তখন অভিজ্ঞ কাউকে দিয়ে কাজ করালে কাজের মান ভালো হয়।
  • কাজের গতি: অনেক সময় অন্য কোম্পানি বা ফ্রিল্যান্সাররা (Freelancer) খুব দ্রুত কাজ করে দিতে পারে। এতে আপনার সময় বাঁচে।
  • ফোকাস (Focus): যখন আপনি কিছু কাজ অন্যকে দিয়ে করান, তখন আপনি আপনার মূল কাজের দিকে বেশি মনোযোগ দিতে পারেন।

৩.২ ক্ষতির দিকগুলো (Khotir Dikgulo)

আউটসোর্সিংয়ের (Outsourcing) কিছু খারাপ দিকও আছে। সেগুলোও আমাদের জানা দরকার:

  • যোগাযোগের সমস্যা: অন্য দেশে বা অন্য কালচারের (Culture) লোকের সাথে কাজ করা কঠিন হতে পারে। তাদের ভাষা বা কাজের ধরন আপনার নাও ভালো লাগতে পারে।
  • গোপনীয়তা: আপনার কোম্পানির কিছু গোপন তথ্য অন্য কারো কাছে চলে যেতে পারে। ডেটা (Data) চুরি হওয়ার ভয় থাকে।
  • গুণগত মান: সব সময় ভালো কাজ নাও পেতে পারেন। অনেক সময় কাজের মান খারাপ হতে পারে।
  • নির্ভরতা: অন্যের উপর বেশি নির্ভর করলে নিজের কোম্পানির দক্ষতা কমে যেতে পারে।

৪. বাংলাদেশে আউটসোর্সিং (Bangladesh e Outsourcing)

৪.১ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট (Bangladesh er Prekhapot)

বাংলাদেশে আউটসোর্সিংয়ের (Outsourcing) সম্ভাবনা অনেক। আমাদের দেশে অনেক তরুণ আছে, যারা আইটি (IT) সেক্টরে (Sector) কাজ করতে আগ্রহী। তাদের দক্ষতাও বাড়ছে। সরকারও আউটসোর্সিংকে (Outsourcing) উৎসাহিত করছে। বিভিন্ন ধরনের নীতি ও সাহায্য দিচ্ছে, যাতে এই সেক্টর (Sector) আরও বড় হতে পারে। আউটসোর্সিং (Outsourcing) তরুণদের জন্য নতুন কাজের সুযোগ তৈরি করছে। তারা ঘরে বসেই বিদেশি কোম্পানির জন্য কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারছে। তথ্য প্রযুক্তি (Information technology) খাতে উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশে আউটসোর্সিং (Outsourcing) আরও জনপ্রিয় হচ্ছে। এখন অনেক বিদেশি কোম্পানি বাংলাদেশে তাদের কাজ আউটসোর্স (Outsource) করছে।


৪.২ সফলতার গল্প (Safolotar Golpo)

বাংলাদেশে অনেক ফ্রিল্যান্সার (Freelancer) ও কোম্পানি আছে, যারা আউটসোর্সিং (Outsourcing) করে ভালো করছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের গল্প আমরা জেনে নিতে পারি:

  • উদাহরণ ১: একজন বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সার (Freelancer) ওয়েব ডেভেলপমেন্টের (Web development) কাজ করে মাসে কয়েক হাজার ডলার (Dollar) উপার্জন করছেন। তিনি বিদেশি কোম্পানির জন্য ওয়েবসাইট (Website) বানান এবং তাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করেন।
  • উদাহরণ ২: একটি বাংলাদেশি কোম্পানি বিদেশি কোম্পানির জন্য সফটওয়্যার (Software) তৈরি করে। তাদের তৈরি করা সফটওয়্যার (Software) অনেক দেশে ব্যবহার করা হয়।

তাদের থেকে আমরা শিখতে পারি যে, দক্ষতা, চেষ্টা আর Hard work করলে আউটসোর্সিংয়ে (Outsourcing) সফল হওয়া যায়।


৫. আউটসোর্সিং বেতন নীতিমালা ২০২৫ (Outsourcing Beton Niti Mala 2025)

৫.১ বর্তমান বেতন কাঠামো (Bortoman Beton Kathamo)

আউটসোর্সিং (Outsourcing) কাজে এখন কেমন বেতন পাওয়া যায়, সেটা জানা দরকার। সাধারণত, এটা কাজের ধরনের উপর নির্ভর করে।

  • ওয়েব ডেভেলপমেন্টের (Web development) জন্য একজন ফ্রিল্যান্সার (Freelancer) মাসে ২০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারেন।
  • গ্রাফিক ডিজাইনের (Graphic design) জন্য বেতন ১৫,০০০ থেকে ৪০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
  • ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের (Digital marketing) জন্য বেতন ২৫,০০০ থেকে ৬০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার উপর বেতন বাড়ে। যত বেশি আপনার কাজের অভিজ্ঞতা থাকবে, তত বেশি আপনি উপার্জন করতে পারবেন।


৫.২ ২০২৫ সালের ভবিষ্যৎ (2025 Saler Bhobisshot)

২০২৫ সালে আউটসোর্সিং (Outsourcing) সেক্টরে (Sector) বেতন কেমন হতে পারে, তার একটা ধারণা দেওয়া হলো:

  • আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (Artificial intelligence) ও মেশিন লার্নিংয়ের (Machine learning) মতো নতুন কাজের সুযোগ বাড়বে। এই কাজগুলোর জন্য বেতনও বেশি হবে।
  • ডেটা অ্যানালিটিক্স (Data analytics) ও সাইবার সিকিউরিটির (Cyber security) মতো কাজের চাহিদাও বাড়বে।
  • মার্কেট (Market) খুব দ্রুত বদলাচ্ছে। তাই, নতুন নতুন দক্ষতা অর্জন করতে হবে, যাতে আপনি অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকতে পারেন।

৬. আউটসোর্সিং নিয়োগ (Outsourcing Niyog)

৬.১ নিয়োগ প্রক্রিয়া (Niyog Prokriya)

আউটসোর্সিং (Outsourcing) কোম্পানিগুলো কিভাবে লোক নেয়, সেটা জানা থাকলে আপনার চাকরি পেতে সুবিধা হবে।

  • প্রথমে, তারা তাদের ওয়েবসাইটে (Website) বা অন্য কোনো জব পোর্টালে (Job portal) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়।
  • তারপর, তারা আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে কিছু লোককে বাছাই করে ইন্টারভিউয়ের (Interview) জন্য ডাকে।
  • ইন্টারভিউতে (Interview) আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও ব্যক্তিত্ব দেখা হয়।
  • কিছু কোম্পানি আবার লিখিত পরীক্ষাও নেয়।

আউটসোর্সিং (Outsourcing) কোম্পানিতে চাকরি পাওয়ার জন্য আপনার কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে। যেমন – ভালো কমিউনিকেশন স্কিল (Communication skill), কাজের দক্ষতা ও নির্দিষ্ট বিষয়ে জ্ঞান।


৬.২ আউটসোর্সিং নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৫ (Outsourcing Niyog Biggopti 2025)

২০২৫ সালে অনেক আউটসোর্সিং (Outsourcing) কোম্পানি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকটা নিয়ে আলোচনা করা হলো:

  • একটি আইটি (IT) কোম্পানি তাদের ওয়েব ডেভেলপমেন্ট (Web development) টিমের (Team) জন্য লোক নিচ্ছে।
  • একটি ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital marketing) এজেন্সি (Agency) তাদের এসইও (SEO) এক্সপার্ট (Expert) দরকার।
  • আবেদন করার আগে, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটা ভালো করে পড়ে নেবেন। সেখানে আবেদনের শেষ তারিখ, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও অন্যান্য তথ্য দেওয়া থাকে।

৭. আউটসোর্সিং নীতিমালা (Outsourcing Niti Mala)

৭.১ নীতিমালার গুরুত্ব (Niti Malar Gurutto)

আউটসোর্সিংয়ের (Outsourcing) কিছু নিয়মকানুন আছে, যেগুলো জানা দরকার। এই নিয়মকানুনগুলো ব্যবসাকে আরও সহজ করে তোলে।

  • আউটসোর্সিং (Outsourcing) নীতিমালায় কাজের শর্তাবলী, পেমেন্টের (Payment) নিয়ম ও সময়সীমা উল্লেখ থাকে।
  • এই নীতিমালা থাকলে, কোম্পানি ও ফ্রিল্যান্সারদের (Freelancer) মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি হয় না।
  • নীতিমালা না থাকলে, অনেক সময় কাজ নিয়ে সমস্যা হতে পারে। তাই, কাজ শুরু করার আগে নীতিমালা জেনে নেওয়া ভালো।

৭.২ গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা (Gurutto Purno Niti Mala)

আউটসোর্সিংয়ের (Outsourcing) কিছু গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা নিচে দেওয়া হলো:

  • কাজের শর্তাবলী: কী কাজ করতে হবে, কিভাবে করতে হবে, কত দিনের মধ্যে করতে হবে – এসব কাজের শর্তাবলীতে লেখা থাকে।
  • গোপনীয়তা রক্ষার নিয়ম: কোম্পানির গোপন তথ্য কিভাবে রক্ষা করতে হবে, সে বিষয়ে নিয়ম দেওয়া থাকে।
  • পেমেন্ট (Payment) এর নিয়ম: কত টাকা দিতে হবে, কিভাবে দিতে হবে, কখন দিতে হবে – এসব পেমেন্টের (Payment) নিয়মে উল্লেখ থাকে।
  • সময়সীমা ও কাজের মান: কত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে এবং কাজের মান কেমন হতে হবে, তাও নীতিমালায় বলা থাকে।

৮. আউটসোর্সিং কি ICT (Outsourcing ki ICT)

৮.১ আইসিটি-র ভূমিকা (ICT er Bhumika)

আউটসোর্সিংয়ে (Outsourcing) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (ICT) একটা বড় ভূমিকা রাখে। ICT এর মাধ্যমে কাজ করা অনেক সহজ হয়ে যায়।

  • ইন্টারনেট, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন – এগুলো ICT এর উদাহরণ।
  • ICT টুলস (Tools) ব্যবহার করে খুব সহজে অন্য দেশের কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করা যায়।
  • ICT এর মাধ্যমে ডেটা (Data) আদান-প্রদান করাও সহজ।

৮.২ উদাহরণ (Udohoron)

সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট (Software development) ও ডেটা সেন্টার (Data center) এর কাজ ICT ব্যবহার করে আউটসোর্স (Outsource) করা হয়।

  • সফটওয়্যার ডেভেলপাররা (Software developer) ইন্টারনেট ব্যবহার করে কোড (Code) লেখে এবং অন্য কোম্পানির কাছে পাঠায়।
  • ডেটা সেন্টারগুলো (Data center) ICT এর মাধ্যমে তথ্য সংরক্ষণ করে এবং সেগুলো অন্য কোম্পানির সাথে শেয়ার (Share) করে।

অন্যান্য ICT সেবাগুলোর মধ্যে আছে – ক্লাউড কম্পিউটিং (Cloud computing), সাইবার সিকিউরিটি (Cyber security) ও নেটওয়ার্কিং (Networking)।

এখানে একটা টেবিল দেওয়া হলো, যেখানে বিভিন্ন ধরনের আউটসোর্সিং কাজ এবং তাদের আনুমানিক বেতন নিয়ে একটা ধারণা দেওয়া হলো:

কাজের ধরণ (Kajer Dhoron)আনুমানিক বেতন (Anumanik Beton)
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট (Web Development)২০,০০০ - ৫০,০০০ টাকা
গ্রাফিক ডিজাইন (Graphic Design)১৫,০০০ - ৪০,০০০ টাকা
ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing)২৫,০০০ - ৬০,০০০ টাকা
কাস্টমার সার্ভিস (Customer Service)১২,০০০ - ২৫,০০০ টাকা
ডেটা এন্ট্রি (Data Entry)৮,০০০ - ২০,০০০ টাকা

আরেকটা টেবিল যেখানে আউটসোর্সিংয়ের কিছু সুবিধা ও অসুবিধা তুলে ধরা হলো:

সুবিধা (Subidha)অসুবিধা (Osubidha)
খরচ সাশ্রয় (Khoroch Sশ্রয়)যোগাযোগের সমস্যা (Jogajoger Somossa)
দক্ষতা বৃদ্ধি (Dakkota Briddhi)গোপনীয়তার ঝুঁকি (Goponiyotar Jhuki)
দ্রুত কাজ (Druto Kaj)মানের ভিন্নতা (Maner Vinnata)

আউটসোর্সিং (Outsourcing) এখনকার দিনে খুব দরকারি একটা জিনিস। এটা যেমন ব্যবসার খরচ কমাতে সাহায্য করে, তেমনি নতুন নতুন সুযোগও তৈরি করে। আপনি যদি নিজের ব্যবসাকে বাড়াতে চান বা নতুন কিছু শিখতে চান, তাহলে আউটসোর্সিং (Outsourcing) আপনার জন্য একটা ভালো উপায় হতে পারে।

আরো পরুনঃ


আজকের পোষ্ট টি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে বন্ধুদের সাথে সেয়ার করতে ভুলবেন না। আর আপনার যদি কোনো মতামত থাকে তবে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা চেষ্টা করব আপনাদের উত্তর দেওয়ার জন্য আর এই ধরনের ইনফরমেটিভ তথ্য পেতে আমাদের সাইট টি ফলো করতে পারেন, ধন্যবাদ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top